🔘মেডিসিনের শহর সুইজারল্যান্ড অসহায়।
🔘প্রযুক্তির শহর জার্মানি নিরুপায়।
🔘মানবতার শহর ইতালি কাঁদছে।
🔘ক্ষমতার শহর আমেরিকা দিশেহারা!
🔘করোনার চেয়েও শক্তিশালী বাংলাদেশে সরঞ্জামের অভাব।
🔴 এরপরও যারা ভাবছেন, শুধু মাস্ক আর ঘরের মধ্যে বন্দী থাকলেই করোনা চলে যাবে, তারা ভুলের মধ্যে আছেন।
এগুলো বস্তুগত উপায়। জাগতিক সচেতনতা। এগুলোর প্রয়োজন আছে। তবে এর চেয়েও বড় প্রয়োজন হচ্ছে:
ক. আল্লাহর কাছে সব গুনাহ থেকে তাওবাহ করে ফিরে আসা।
খ. সমস্ত নগ্নতা, বেহায়াপনা বন্ধ করা।
গ. জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান মেনে নেয়া।
ঘ. সর্ব প্রকার যুলুম ও সুদ-ঘুষ বন্ধ করা।
ঙ. আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা; তার উপর তাওয়াক্কুল করা।
🔴 কারণ,
আল্লাহর নাফরমানী হচ্ছে: এ সব মহামারীর মূল কারণ।
যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
ক. যিনা;
খ. সুদ;
গ. যুলম.
ঘ. সব ধরনের অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা।
ঙ. ন্যায়ের নির্দেশ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধ প্রতিবাদ না করা।
তাই, আল্লাহর নাফরমানী বন্ধ না করে শুধু বস্তুগত উপায় অবলম্বন কোন মৌলিক সমাধান নয়।
আমরা যে কোথায় আছি, তার কিছু নমুন দেুখন:
ক. করোনা নিয়ে যে সব মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র কথা বলছে, তাদের কথার মধ্যে আল্লাহর কোন নাম আছে? ভাবখানা এমন যে, আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই, তারাই যথেষ্ট।
খ. টেলিভিশনের সংবাদ পাঠিকারা এখনো যে সব পোশাক পরিধান করছে, তাতে কি মনে হয় যে, বাংলাদেশে মুসলমান বাস করে?
গ. বিজ্ঞানসম্মত সৎকারের ধৃষ্টতা দেখিয়ে টিভি উপস্থাপিকা ও এক হিন্দু মৌলবাদী মুসলিমের লাশ পুড়িয়ে দেয়ার যে ভয়ানক টক শো করলো, তা কি কোন মুসলিম দেশে সম্ভব?
ওই বেয়াদবগুলো কোন বিজ্ঞানের দোহাই দিচ্ছে? যে বিজ্ঞান আজ অচল আল্লাহর ইচ্ছার সামনে? এখনো ওরা বিজ্ঞান নিয়ে বসে আছে, যখন ওদের উন্নত বিশ্ব বলছে, যমীনের সমাধান শেষ। আসমানের সমাধান ছাড়া উপায় নেই।
করোনা ও আল্লাহর সমস্ত গজব থেকে বাঁচতে হলে:
ক. মিডিয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র বেপর্দা বন্ধ করতে হবে।
খ. মিডিয়ার সমস্ত ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে।
গ. নাস্তিকদের সমস্ত অপতৎপরতার মূলোৎপাটন করতে হবে।
ঘ. মদ, জুয়া, সুদ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে।
ঙ. বাউলদের সমস্ত আখড়া উড়িয়ে দিতে হবে।
চ. ভোটচুরী বন্ধ করে মানুষের হক ফিরিয়ে দিতে হবে।
ছ. অফিস-আদালাত, কল-কারখানা সর্বত্র নামায বাধ্যতামূলক করতে হবে।
জ. ব্যাভিচার চিরদিনের জন্য বন্ধ করে সমস্ত পতিতাপল্লী উৎখাত করতে হবে।
ঝ. কুরআন বিরোধী সমস্ত আইন কানুন বন্ধ করে সেথায় কুরআন-সুন্নাহর আইন জারী করতে হবে।
ঞ. যুলুমশাহী বন্ধ করে মাযলুমদেরকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নিরীহ লোকদের প্রতি হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
জ. তাওবাহ ইস্তেগফারের মাধ্যমে রবের সন্তুষ্টি লাভের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে অব্যাহত ভাবে।
আপনি যে করোনার পরবর্তী টার্গেট নন,তার নিশ্চয়তা কী?
আল্লাহর গযব থেকে একমাত্র হতভাগারাই নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করে।
আসুন, এখনও সময় আছে।
আমরা ইস্তেগফার করি। সমাজকে সংশোন করি।
ইস্তেগফারকারী ও সংশোধনকারীদেরকে আল্লাহ শাস্তি দেন না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ