চিনে তৈরি হওয়া কৃত্রিম ডিম ভারতের বাজার ছেয়ে ফেলেছে।
এগুলি ‘কৃত্রিম’ এই কারণেই যে, এই ডিম কোনও হাঁস বা মুরগির উৎপাদন নয়, মানুষই তৈরি করে এই ডিম। ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ডিমের খোসা। সোডিয়াম অ্যালজিনেট, অ্যালাম, জিলেটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, এবং জল আর রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ডিমের কুসুম অংশটি। সাধারণত এই ডিম মুরগি বা হাঁসের ডিমের চেয়ে সস্তা, কিন্তু আসল ডিমের তুলনায় এতে খাদ্যগুণ প্রায় নেই বললেই চলে। আপাতদৃষ্টিতে এই সব ডিম মুরগি বা হাঁসের ডিমের মতোই দেখতে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ডিমকে চিহ্নিত করবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞরা বাতলে দিচ্ছেন কয়েকটি উপায়— ১. কৃত্রিম ডিমের খোসাটি হয় বাদামি রং- এর। ২. ডিমটি ফাটিয়ে এর ভিতরের হলুদ অংশটি বার করে কোনও পাত্রে রেখে দিলে মাছি বা পোকামাকড় সেটির প্রতি আকৃষ্ট হয় না। তাতে পচনও ধরে না। ৩. এই ধরনের ডিমের খোলাটা আসল ডিমের চেয়ে একটু বেশি চকচকে হয়। ৪. হাত দিয়ে স্পর্শ করলে কৃত্রিম ডিমের খোলাটি আসল ডিমের তুলনায় একটু বেশি খসখসে লাগে। ৫. এই ধরনের ডিম ফাটিয়ে ডিমের ভিতরের উপাদানটিকে একটি পাত্রে রাখা হলে, হলুদ অংশটি ও সাদা অংশটি মিশে যায়। আসল ডিমের ক্ষেত্রে হলুদ রং-এর কুসুম অংশটি আলাদা হয়ে। থাকে। ৬. আসল ডিমে টোকা মারলে অনেকটা ভরাট আওয়াজ হয়, কৃত্রিম ডিমে টোকা মারলে ফাঁপা আওয়াজ আসে। ৭. আসল ডিমের ভিতরের উপাদানটিতে একটি আঁশটে গন্ধ থাকে, যা কৃত্রিম ডিমে থাকে না। ৮. কৃত্রিম ডিম কানের কাছে এনে ঝাঁকালে হালকা একটা আওয়াজ পাবেন। কারণ এই ধরনের ডিম ঝাঁকালে ভিতরের জলীয় অংশটি অর্ধ-তরল অংশটির উপরে নড়াচড়া করে। ৯. এই ধরনের ডিম ভাজার জন্য ফ্রাইং প্যানের উপর ফেললে কুসুম অংশটি সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ছ়ড়িয়ে যায়। কাজেই নিজে এই ধরনের ডিম সম্পর্কে সচেতন হোন, এবং এই প্রতিবেদন শেয়ার করে অন্যদেরও সতর্ক করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ