বাংলাদেশের বাজারে আজকাল প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় নকল চাল। ফেইসবুক ইউটিউবের কল্যানে সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকম অনেক ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়।
|
প্লাস্টিক চাল চেনার উপায়। |
এই চাল দেখতে সত্যিকারের চালের মতো হলেও আসলে এটি তৈরি হয় প্লাস্টিক উপাদান এর মাধ্যমে। এই চাল খাওয়া মানেই প্লাস্টিক খাওয়া। প্লাস্টিকে আছে ফিলেইটস নামক উপাদান, যা হরমোন এবং প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে থাকে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। প্লাস্টিকের চাল চেনার কিছু উপায় আছে। আসুন জেনে নেই সে উপায়গুলো সম্পর্কে।
১। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ চাল দিয়ে নাড়ুন। প্লাস্টিকের চাল হলে এটি পানির উপর ভাসতে থাকবে। সত্যিকারের চাল কখনও পানির উপর ভাসবে না, এটি পানির নিচে চলে যাবে।
২। নকল চাল বুঝতে পারার আরেকটি সহজ উপায় হলো, কিছু চাল রান্না করুন। এটি সাধারণ তাপমাত্রায় দুই তিন দিন রেখে দিন। যদি ভাত নষ্ট বা ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত না হয় তবে বুঝতে হবে আপনি প্লাস্টিক চাল খাচ্ছেন। সত্যিকারে চালের ভাত সাধারণ তাপমাত্রায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।
৩। এক টেবিল চামচে চাল নিন। এটি চুলায় আগুনের উপর রাখুন। যদি প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ পান তবে বুঝতে হবে এটি প্লাস্টিকের চাল।
৪। এক কাপ চাল সিদ্ধ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা হয়ে এলে চাল লক্ষ্য করুন। ভাতের উপর একটি ঘন লেয়ার পড়ে তবে বুঝতে হবে এটি প্লাস্টিকের লেয়ার। এই চাল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।
৫। আপনি বাজার থেকে চাল কেনার পর কিছু পরিমাণ চাল গুঁড়ো করে নিন। যদি চালের গুঁড়ো সাদা হয় তবে সেটি আসল চাল। আর যদি চালের গুঁড়ো হলুদ বা অন্য কোনো রঙের হয় তবে সেটি অবশ্যই নকল চাল।
৬। একটি প্যানে এক চা চামচ তেল দিয়ে এতে কিছু পরিমাণ চাল দিয়ে দিন। এটি ভাজতে থাকুন। যদি সেই চাল প্লাস্টিকের চাল হয়,তবে সেটি গলে যাওয়া শুরু করবে এবং কড়ায়ের নিচে লেগে যাবে।
৭। প্লাস্টিকের চাল দিয়ে মুড়ি ভাজার চেস্টা করুন।
প্লাস্টিকের চাল কখনোই মুড়ি হবেনা। এটি গলে যাবে বা কালো হয়ে যাবে।
প্লাস্টিক চাল প্রধানত চীনে উৎপাদিত হয়। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই চাল ছড়িয়ে পড়ছে। তাই বাজারে সাধারণ চালের পাশাপাশি প্লাস্টিক চাল থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। না চেনার কারণে হয়তো নিজেই অজান্তেই আপনি সেগুলো কিনে নিয়মিত খাচ্ছেন।
একটু সাবধান হলে প্লাস্টিক চাল চেনা সম্ভব। তাছাড়া বেশি কমদামী বা বেশি দামী চালগুলোই মূলত প্লাস্টিকের চাল হয়ে থাকে। এই চালের প্লাস্টিকের উপদানগুলো আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টির কারন!!!
আমরা যারা বাজার থেকে কিনে চাল খাই,তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিবার নির্দিষ্ট পরিচিত দোকান থেকে চাল কিনে থাকি। সেক্ষেত্রে অনেকাংশে একই কোম্পানির চাল বার বার কিনে থাকি। চালের বস্তার গায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম এবং লাইসেন্স নাম্বার দেয়া থাকে। চাল কেনার ক্ষেত্রে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের চাল কেনার চেস্টা করুন। আর আজই আপনার বাসার চাল পরীক্ষা করুন। তারপর নিশ্চিন্তে একই কোম্পানির চাল কিনে খেতে পারেন। পাশাপাশি আমাদের পোস্ট'টি নিচের শেয়ার অপশন থেকে শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ