আশরাফুল আলম সাঈদ
যে মানুষটি কিছু দিন আগেও অতীতের কিছু কাজের জন্য সবার কাছে ট্রলের পাত্র ছিলেন, আজ সে মানুষটি তার সাহসী ও পজিটিভ কাজের জন্য সবার কাছে সত্যিকারের হিরোতে পরিণত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচন আমাদের একটা বৈধ সরকার দিতে না পারুক কিন্তু একজন স্বঘোষিত হিরো আলমকে সাধারন মানুষের কাছে সত্যিকারের হিরুর বৈধতা দিতে পেরেছেন।
হিরো আলম
জন্মঃ
আশরাফুল আলম সাঈদ
২০ জানুয়ারি ১৯৮৫সালে তার জন্ম হয় (বয়স ৩৪)।
বগুড়া জেলা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
পেশা অভিনেতা ও ব্যবসায়ী
কার্যকাল
২০০১-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী সুমি।
প্রারম্ভিক জীবন
আশরাফুল আলম সাঈদ ১৯৮৫ সালের ২০ জানুয়ারি বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক, মা আশরাফুন বেগম। প্রথম দিকে নিজ গ্রাম এরুলিয়ায় সিডি বিক্রির কাজ করতেন এবং পরবর্তীতে স্যাটেলাইট টিভি সংযোগের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায় নামেন। ক্যবল সংযোগের ব্যবসা চলাকালে সখের বশে তিনি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন। আশরাফুল আলমের ইউটিউবে আপলোড করা মিউজিক ভিডিও নিয়ে ২০১৬ সালের দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ট্রোল এবং মিমি তৈরি শুরু করলে দ্রুতই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। এসময় মুশফিকুর রহিমসহ আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী তারকা আশরাফুল আলমের সাথে সেলফি উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। এরপর বিবিসি হিন্দি, জি নিউজ, এনডিটিভি, ডেইলি ভাস্কর, মিড-ডেসহ ভারতের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ফলে তিনি ভারতীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে আলোচিত হন। ইয়াহু ইন্ডিয়ার এক জরিপ অনুসারে সেসময় ভারতীয় অভিনেতা সালমান খানের চেয়ে আলমকে বেশিবার গুগলে অনুসন্ধান করা হয়েছে। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের গুগল সার্চ ট্রেন্ডে বাংলাদেশে দশম অবস্থানে রয়েছে হিরো আলম।
অভিনয়
১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে আশরাফুল আলম অভিনীত প্রথম ছবি মার ছক্কা মুক্তি পায়। ২০১৮ সালে তিনি বিজু দ্য হিরো নামে একটি বলিউড সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এছাড়া বাংলাদেশে বেশকিছু বিজ্ঞানপণচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
আশরাফুল আলাম ব্যক্তিগত জীবনে সাবিহা আক্তার সুমির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে এবং কবির নামে এক ছেলে রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ